হোক কলরব!
হোক কলরব!
পলাশ বিশ্বাস
বাংলার বিদ্বতজনেরা কলরব পসন্দ করেন না অথচ পাখির কলরবে ভোরের সঙ্গীতে রচিত তাঁদের সৌন্দর্য চেতনা, কল্পনার উড়ান ঔ কলরব থেকেই!
ছাত্রী নিগ্রহ ও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে রাতের অন্ধকারে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। শনিবার দেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার নন্দন থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বজায় ছিল। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে হাঁটেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, নাট্যকার এবং পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়সহ কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।
কিছুটা এগোনোর পরই কলকাতার মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আটকে দেওয়া হয় সেই মিছিল। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা থাকায় পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। আন্দোলনস্থলে আসেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে, ঘটনার জন্য কারা দায়ী সবই আপনারা ভালোই জানেন।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে শনিবারে রাজ্যপালের এ মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল।
মানুষের কোলাহল সে তাঁদের বড়ই অপসন্দের কারণ ছোটলোক ব্রাতযজনেরা,যারা অত্যাচারিত,ব্রাত্য,অস্পৃশ্য,বন্চিত তাঁরাই কোলাহলে তাঁদের দাবি পেশ করতে অভ্যস্ত এবং সেই কোলাহলকে পাত্তা না দেওয়াই ক্ষমতার রঘুকুল রীতি!
কল্পনা করুন বাংলা অধীশ্বরী দিদি যদি আজ মুখ্যমন্ত্রী না হয়ে বিপক্ষের নেতাই রয়ে যেতেন,কলকাতার জনসমুদ্রের সম্মুখ ভাগে তাঁর অবস্থান ও উচ্চকিত কন্ঠস্বর নিয়েই তৈরি হত যাবতীয় খবরাখবর!ছবির বন্যা,লাইভ স্ট্রিম!
আবার সেই প্রবাদ বাক্য স্মরণ করতেই হয়,ক্ষমতার অন্ধকারে সব আলো শেষ হয়ে যায়,বাকি থাকে শুধু অন্ধকার!
তাই অন্ধকারের রাজত্বে এই কোলাহল সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্র সঙ্গীতের চেয়ে বেশি!
বাঙ্গালি মেয়েরা দুধ ভাত ম্যাগি ফুচকা ছেড়ে পরতিবাদে সংহিনীর মত গর্জন করছেন,এর চেয়ে বড় সারদোত্সব এি বঙ্গ হয়নি কোন দিন,কোনো কালে
কোলাহলের এি উত্সব স্বাগত !
এখন মহিষমর্দিনী অসুরনাশিনীর বিদাযের ,বিসর্জনের পালা,নূতন সুচনা পর্বের আরম্ভ হল আজ,আধিপাত্যের মুখে বজ্র আঘাত হানো!
ধরণা শেষ ত হতই না, পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙ্গ লন্কাকান্ড ত হতই,আরও একটা একুশে জুলাইয়ের আশন্কাও ছিল পুরোদস্তুর!
দিদি যথারীতি মা মানুষ সরকারের নবান্নের ঊঁচুতলায় বাসা বেঁধেছেন, এবং ক্ষমতার রীতি ব্যাকরণে এই জনগণের কোলাহল যথারীতি রীতি বিরুদ্ধ!
নজরুল ইসলাম জাতে ছিলেন মুসলমান,ধর্মেও মুসলমান!
নজরুল ইসলামের কৌলিণ্য ছিল না!
তাই তাঁকে আজও বলা হয় কোলাহলের কবি!
সেই নজরুলের কোলাহল কবিত্যই আজ কলকাতার সম্পর্তিক সমাজ বাস্তব,দায়বদ্ধতা,পরিবর্তনের নূতন অঙ্গীকার,ঋজু মেরুদন্ডের অবস্থান, এই অন্যায় মেনে নেব না,এই অন্যায় চলতে দেব না!
তাই বল বীর চির উন্নত মম শির শিখর হিমাদ্রির!
রাতের অন্ধকারে যে বাচ্চা মেয়েরা নিগৃহীত হলেন তাঁদের সহপাঠীর নিগৃহীত হওয়ার প্রতিবাদে,রাতের অন্ধকারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রদের লাঠিপেটা করল উর্দি ও উর্দিছাড়া গুন্ডাবাহিনী তাঁরা কোনোমতেই কোলাহলের অংশীদার নয়,তবু তাঁরা কোলাহলকে অস্ত্র বেছে নিয়েছে!
অপ্রতিরোধ্য নজরুল থেকে নবারুণকে জ্যান্ত করেছেন কলকাতার পথে ধর্ম জাতি ভাষা ভেদাভেদ ভুলে নিরন্কুশ মগের মুল্লুকের বিরুদ্ধে!
জ্যান্ত করে দিয়েছেন গোটা সত্তর দশক!
তার আগে অবশ্য পুলিশ কমিশনার দাবি করলেন,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ লাঠি চালায়নি । ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা পুলিশ কমিশনার মিথ্যে বলছেন বলে উল্টো অভিযোগ আনলেন । যাদবপুর-কাণ্ডে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করল কলকাতা পুলিস। ফেসবুকে কলকাতা পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, উপাচার্য ও অধ্যাপিকাদের উদ্ধারে পুলিসকর্মীরা গেলে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন। পুলিস ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করলে ছাত্রছাত্রীরা আক্রমণ করেন। হাতাহাতিতে দু-পক্ষের কয়েকজন আহত হন বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে কলকাতা পুলিস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জের অব্যাহত। নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের লেখা পোস্টার খুলে ফেলা নিয়ে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছনর পর দেখা যায় বিভিন্ন দেওয়াল থেকে পোস্টারগুলি খুলে-ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ক্যামেরার সামনে পড়তেই অবশ্য বন্ধ হয়ে যায় এ কাজ। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সেগুলি খুলে ফেলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
-0-0-0-0-0-0-0-
হোক কলরব!, Jadavpur University molestation, Students hold massive rally in Kolkata, VC Abhijit Chakraborty, university’s Vice Chancellor responsible for ushering police inside the campus,,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিরক্তি, ছাত্র কলকাতার বিশাল সমাবেশ, ক্যাম্পাস ভিতরে পুলিশ উপস্থাপক জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর দায়ী ভিসি অভিজিৎ চক্রবর্তী,,,ছাত্র আন্দোলনের অরাজনৈতিক মুখ, মায়ো রোড গান্ধী মূর্তি,


