হিন্দুত্ববাদিরা তসলিমাকে জুতো পেটা করলেন?
ইসলামি মৌলবাদিদের মহাউল্লাস!
এই দুর্ঘটনার নিন্দার কোনো ভাষা নেই, চরিত্রহননের স্ত্রীবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই!
পলাশ বিশ্বাস
বাংলালাদেশে হিন্দুদের উত্পীড়ন নিয়ে তসলিমার উপন্যাস নিয়ে ভারতবর্ষের হিন্দুত্বকারোবারিরা কম ব্যবসা করে নাই।বাংলায় হিন্দুত্ভের পদ্মপ্রলয়েও গত একবছর ধরে তসলিমাকে কম ব্যবহার করেননি হিন্দুত্ববাদিরা।
লজ্জার একতরফা বিবরণ আমি সাহিত্যের মানদ্ন্ডে সেরা সাহিত্য মানতে কখনো রাজি ছিলাম না।কিন্তু নির্বাচিত কালমের তসলিমা এবং কবিতায় পুরষতন্ত্রে বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্রোহের তুলনা নাই।ধর্মকে খারিজ করার মত প্রবল কন্ঠস্বরও তাঁর মত কোথাও শুনি নাই।
ব্যক্তিগত ভাবে তসলিমাকে চিনি শুরু থেকেই ,যখন তিনি কলকাতায় বসবাস করতেন।তারপর তিনি কলকাতা থেকে উত্খাত হলেন বাম জমানায়। বাংলায় পরিবর্তন হল।দিদির রাজ্যাভিষেকে মা মাটি মানুষের সরকার হল।
তসলিমার বাংলায় প্রত্যাবর্তন হল না।
তসলিমা পশ্চিম প্রবাস তুলে দিয়ে পাতকাপাকি এখন দিল্লীতে।
তসলিমার বাণিজ্যিক লেখা, তাঁর দেহগাথাকে আমি সমর্থন করি না,কিন্তু নাগরিকত্ব,মানবিকতা ও নাস্তিকতার সমর্থনে তাঁর লেখাকে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নিরিখে অতিশয় মূল্যবান মনে করি।
বাংলাদেশে প্রবল ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক আনদোলন অবিরাম থাকা সত্বেও আজ অবধি তসলিমার পক্ষে কোনো প্রবল কন্ঠস্বর শুনতে পাই নি।
তাঁ কালম লেখার ঘরানার সমর্থনে তাঁকে বাংলার বাইরের বাঙালিদের আওয়াজে শামিল হতে ইদানিং ফেসবুকে খোলা আমন্ত্রণও জানিয়েছি।
কিন্তু দিল্লিতে তসলিমার এখন অনেক বন্ধু বান্ধব।
তাঁর জবাবের প্রতীক্ষায়৤আছি।
আসামে আমাদের প্রচটন্ড শক্তিশালী লেখক বন্ধু ঈশানের পুন্জমেঘ ও ফেলানি খ্যাত সুশান্ত কর এই আমন্ত্রণের বিরোধিতা করে মন্তব্য করেছেন যে ভারতে থাকা কালীন তিনি গুজরাট বা অন্যান্য ইস্যু নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি।
তসলিমার সীমাবদ্ধতা,তিনি নাগরিকত্ব বন্চিত.সেটা বোঝা প্রয়োজন।
তসলিমাকে সঙ্ঘপরিবারের খোলা সমর্থনের জন্য ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম থেকেই সমর্থন করে আসছেন।
হাল ফিলে ভারতে তাঁর ভিসার মেয়াদ খতম হলে মোদীর হস্তক্ষেপেই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আজ পিসিতে বসেই বাংলাদেশের মীডিয়ায় দশেরার তুবড়ের মত তসলিমার জুতাপেটার খবর ও ভিডিও দেখে ভড়কে গিয়েছি।৤সঙ্গে ৤চলছে জঘন্য চরিত্র হনন অভিযান,এই মহাদেসের বিতর্কিত কিন্তু বলিষ্ঠ লেখিকাকে বেশ্যা,নষ্ট মেযে প্রমাণিত করার অপচেষ্টা৤লিন্ক গুলি দিচ্ছি তথ্যের প্রয়োজনে।
তসলিমাকে মৌলবাদিরা কতটা ঘৃণা করতে পারে,তাঁর হাতে গরম প্রমাণ হিসাবে।
তসলিমার জুতাপেটার খবর কিন্তু হিন্দি বা ইংরেজি কোনো খবরে পেলাম না।
বলা হচ্চে হিন্দুত্ববাদিরা নাকি হিন্দু ধর্মের অবমাননার জন্য তসলিমাকে জুতাপেটা করেছেন ভারতের মাটিতে।
এক্সক্লুসিভ ভিডিও >> তসলিমা নাসরিন কে জুতা পেটা

https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=Hf_kvX-Fiec
http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/200/93374
taslima-বাংলাদেশি মীডিয়ার আক্ষেপঃহিন্দুদের একটি অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় Nasreen Taslima কে সরাসরি জুতা পেটা করলো কিছু হিন্দুপ্রেমিরা ।আর মুসলমান দের নিয়ে বাজে উক্তি করেও তসলিমা নাসরিন এর কিছুই হয়নি শুধু মাত্র বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন । কিন্তু এই নাস্তিক এখন ও নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে বিশ্বের মাঝে বুক ফুলিয়ে চলে । আজ পর্যন্ত তাকে মুসলমানদের কেউ একটা টোকা ও দিতে পারেনি ।
মৌলবাদিদের আক্ষেপ ও উল্লাসের এই রসায়ণে.যারা সত্যিকারে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক তাঁদের বোঝা প্রয়োজন মৌলবাদিদের কত বড় শত্রু এই লেখিকা।
তসলিমাকে যদি সত্যি সত্যি হিন্দুত্ববাদিরা জজুতাপেটা করে থাকেন,তাহলে বোঝা প্রয়োজন তিনি হিন্দুত্ববাদিদের চোখে বালি এখন।

I'm against all religious fanatics.If I'm not fighting equally against all fanatics,it means I don't think all fanatics r equally dangerous.

— taslima nasreen (@taslimanasreen) October 4, 2014

আমি এক দশক আগে তসলিমার একটি দীর্ঘ সাক্ষাত্কার নিয়েছিলাম।তখন তিনি বলে ছিলেন ,ভারতের আশ্রযে থাকাকালীন নাগরিক্বহীনতার পরিস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরিন ব্াপার স্যাপোরে তিনি মন্তব্য করতে পারবেন না।
তবু জিনি বলেছিলেন যে ধর্মেরই হোক,মৌলবাদিরা সমাজের ও সভ্যতার শত্রু।
তসলিমা বলেছিলেন, ধর্ম যতদিন থাকবে,বর্ণ শ্রেণী আধিপাত্য থাকবে।
তসলিমা বলেছিলেন, ধর্ম যতদিন থাকবে,ধর্ম যতদিন থাকবে ,ততদিন সাম্য,ভ্রাতৃত্ব ও সামাজিক ন্যায়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
তসলিমা বলেছিলেন,ধর্মে নারির কোনো অধিকার নেই,ব্রাত্যদের কোনো অধিকার নেই।
তসলিমা বলেছিলেন,মানবাধিকার ও নাগরিকত্ব এবং সভ্যতার প্রয়োজণে,বর্ণআধিপাত্য ও স্ত্রী উত্পীড়নের রাষ্ট্রযন্ত্রের বদলে সমাজ বিপ্লবের জন্য ধ্রম বিরোধিতা ছাড়া লেখা চলে না।
তিনি সাফ বলে ছিলেন,তিনি হিন্দু ও ইসলামি ছাড়া জাযনি ও খ্রীস্টান ও অন্নাযন্য ধর্মের মৌলবাদি যারা যেখানে আছেন,সবারই বিরুদ্ধে তিনি।
আমি এই তসলিমাকে সম্মান করি,তাঁকে প্রাণের কাছাকাছি আত্মীয় মনে করি।
যদিও তসলিমার জুতাপেটার খবর হিন্দিতে বা ইংরেজিতে নেই,বাংলাদেশের খবরে তাঁর বিরুদ্ধে এি নূতনকরে জুতাপেটা অভিযানে অত্যন্ত ব্যাথিত।
আশা করি বাংলাদেশী ধর্ম নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক মানুষ এবং এপার বাংলা ছাডা় বাঙালি যেখানে যারা আছেন তাঁরা মৌলবাদিদের সঙ্গে তসলিমা হত্যার এই মহোত্সবে যোগ দেবেন না।
ভালো খবরও আছে একখানি,
নারীদের খৎনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সোমালিয়ায় জন্ম নেয়া সাফিয়া আব্দি হাসিকে নরওয়ের নাইটহুড খেতাব ‘দি অর্ডার অব সেন্ট ওলাভ’ দেয়া হয়েছে।
আফ্রিকার প্রথম মানুষ হিসেবে তিনি নরওয়ের এ খেতাবটি পেলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী ওসলোর রাজপ্রাসাদে খেতাবটি গ্রহণ করেছেন তিনি। নারী ও শিশুদের নিয়ে তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
১৯৯২ সালে নিজের তিন কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সোমালিয়া ছেড়ে নরওয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি নিজেও পারিবারিক সহিংসতা ও খৎনার শিকার হয়েছিলেন।
বিবিসিকে তিনি বলেছেন, তার আন্দোলন তার নিজ জীবনের অভিজ্ঞতার ফসল।
“সব ধরনের সহিংতার শিকার আমি, সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার সংগ্রামে আমার নিজের গল্পই ব্যবহার করি,” বলেন তিনি।
খৎনা ছাড়াও তিনি জোরপূর্বক বিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা এবং দারিদ্রের পাশাপাশি পাচারেরও শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
“আফ্রিকা থেকে বের হয়ে ইউরোপে আসার জন্য নিজের শরীরকে ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি আমি। আমার তিন কন্যার সহিংসতামুক্ত জীবনের জন্যই এসব করেছি আমি,” বলেছেন তিনি।
হাসি যখন নরওয়ে আসেন তার কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এখানে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়া শেষ করে নার্সিংয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর নরওয়ের দাতব্য প্রতিষ্ঠান আমাথিয়া’তে কাজ করার সময় তিনি নারী খৎনার বিরুদ্ধে প্রবল এক আন্দোলনকারী হয়ে উঠেন।
নারী খৎনার বিরুদ্ধে নরওয়ে সরকারের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ণে তিনি সহায়তা করেন এবং নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একজন দূত হিসেবে পরিচিতি পান।
তিনি জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে গঠিত নরওয়ের একটি জাতীয় বোর্ডের হয়ে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি বোঝায় ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমা কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাবেন না।তাই মহিমামন্ডিত তিনি।
হজ্জ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টিকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পশ্চিমা কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাবেন না। তিনি বরং দেশে ফিরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চান। তবে পরিবারের সদস্যরা ধীরে সুস্থিরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে। লতিফ সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিজেই বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, আমেরিকা কিংবা ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেব কেন। আমি দেশে ফিরে জেলে যেতেও প্রস্তুত।
ঢাকা তিনি জানিয়েছেন, তিনি আমেরিকার ডালাসে অবস্থান করছেন। ঈদের পর সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফিরবেন। ঢাকায় তাকে ঢুকতে দেওয়া না হলে কলকাতায় চলে যাবেন।
হজ্জ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে বিতর্ক সৃস্টির পর পরই এক শ্রেণীর মিডিয়া সংবাদ পরিবেশন করে যে, লতিফ সিদ্দিকী রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। মিডিয়া অবশ্য এই বক্তব্য বা ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে কোনো সূত্র উল্লেখ করেনি। বেনামি বিশ্লেষক এবং সূত্রের বরাত দিয়ে ঢাকার মিডিয়া লতিফ ‘সিদ্দিকী রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন’ মর্মে গুজব রটিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে লতিফ সিদ্দিকীর পরিবারিক এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠসূত্রদের সঙ্গে কথা বললে ভিন্ন ধারনা পাওয়া যায়। সূত্রগুলো জানায়, বিতর্ক এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি সত্বেও লতিফ সিদ্দিকী পূর্ব নির্ধারিত সময়েই দেশে ফেরার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্য এবং ঢাকায় সরকার ও রাজনীতিতে তার শুভাকাংখীরা এই মুহুর্তে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন।
একটি সূত্র জানায়, লতিফ সিদ্দিকী তার শুভাকাংখীদের বলেছেন- লতিফ সিদ্দিকী তাসলিমা নাসরিন নন- তিনি লতিফ সিদ্দিকী। যেই দেশটির জন্মের জন্য তিনি প্রাণবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তিনি সেই দেশেই ফিরে যাবেন।
উৎসঃ সমকাল
COMMENTS on the news of http://www.bdmonitor.net

Md.Manzurul Huq · Follow · Top Commenter

জুতা ত ভাই জুতাই.. তা বাংলাদেশি হোক বা ভারতীয় হোক। আমারা বাংলাদেশি মুসমানরা যা পারিনাই তা আমাদের ভারতীয় মুসলমান ভাই রা করে দেখয়াইছেন। এখানে জাতীয়তা বাংলাদেশি বা ভারতীয় না.. জাতীয়তা হল মুসমান আলহামদুলিল্লা। আল্লাহু আকবর।

Reply · Like · 4 · Follow Post · 4 hours ago

ফিজিওথেরাপি/physiotherapy

sorry vai news bolchea hindurai juta pita korechea, muslimra noy. tnx

Reply · Like · 3 hours ago

Md.Manzurul Huq · Follow · Top Commenter

@ফিজিওথেরাপি আমি নিশ্চিত আপনি ভিডিও টা দেখেনি বা দেখলেও লোকগুলো কি বলছে শোনেননি।

Reply · Like · 3 hours ago

Muhammed Abdulla · Follow · Dania University College,Dhaka,Bangladesh

আল্লাহ, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এবং আল্লাহর দিনের সাথে যারা বেয়াদবি করে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়ার জীবনে অপমানিত ও লাঞ্চিত করে ছারেন আর পরকালের শাস্তিতো রির্জাভ রয়েছেই।

Reply · Like · 1 · Follow Post · 4 hours ago

Mohammed Shah · Top Commenter · London, United Kingdom

BDtoday you make the news but you do not check / listen the video what the crowd are saying. They are Muslim and beating her for blasfamy comment against Rasul PBUH and this was happend in Hyderabad.

Reply · Like · 1 · Follow Post · 3 hours ago

Jabad Khan · Follow · Marketing Management at Printing mideya

ওরে আবাল/বলদ গরু দিয়া চোদানো উচিত !!!

Reply · Like · 1 · Follow Post · 3 hours ago

Saydur Rahaman Chowdhury Apu · Reaserch Assistant at Reaserch Assistant, icdd'B

ai na hole ki khati musolman ?

Reply · Like · 3 hours ago

Saydur Rahman · Engineer at Student

tanx
good hoy se

Reply · Like · Follow Post · 4 hours ago

Sultan Mahmud · Follow · Comilla

Toslima nasrin to nosto meye.

Reply · Like · Follow Post · 4 hours ago